বুধবার, ৩০ Jul ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

সেচের পানিতে ভাসা কীট-পতঙ্গ খেতে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, একুেশর কন্ঠ : মানুষের আপন প্রযোজনে গাছপালা কেটে উজাড় করা হচ্ছে বন জঙ্গল। এক সময় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বিভিন্ন বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড় বা জঙ্গলে সন্ধ্যায়, পাখির ঝাঁকের কলতানে কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে ফেরা মানুষের মনে প্রশান্তি ফিরতো পাখির কিচিরমিচির শব্দে। গ্রামের মানুষের ঘুমও ভাঙতো পাখির কিচিরমিচির শব্দে । খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যার কারণে পাখির ঝাঁকের সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য আর চোখেই পড়ে না।

মাঘ মাসের শুরুতেই কৃষকরা বোরো ধানের চারা লাগানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে, জমিতে হালচাষের জন্য দেওয়া নতুন সেচের পানি পেয়ে, ধান কাটা জমি থেকে উঠে আসছে কীট-পতঙ্গ। এগুলো খাওয়ার জন্য দল বেঁধে উৎসবমুখরভাবে জমিতে অবস্থান নিচ্ছে বক, কালো ফিঙে, শালিক, দোয়েল ইত্যাদি পাখি। উপজেলাজুড়ে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা গেছে, এসব দৃশ্য দেখে খুশি কৃষরাও ।

বনমালী গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, অনেক দিন পর এরকম ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি দেখে ভালোই লাগছে। সেচে পানি দেওয়ার সাথে সাথেই ওরা ক্ষেতে এসে বসে। জমি হাল বাওয়া শেষ হলে ওরা অন্য জমিতে যেয়ে বসছে।

জমিতে হাল চাষের টিলারের মালিক আলমগীর মিয়া বলেন, পাখিগুলো হাল বাওনের সময় খেতে আসে , আমরা ওদের কোনো ক্ষতি করি না।

গোপালপুরের বাসিন্দা প্রকৃতিপ্রেমী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে দেশীয় পাখি দিন দিন কমে আসছে। আগের মতো সকাল সন্ধ্যা পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ব্যক্তি উদ্যোগে বেশি বেশি পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করা উচিৎ ।

এদিকে পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় এনে, পাখিদের অবাধ বিচরণের জন্য পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com